ডিজাইন প্রজেক্ট প্ল্যানিং
Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)
ডিজাইন শুরু করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। আমি খেয়াল করেছি ধাপগুলো ডিজাইন শুরু করার আগে দেখে নিলে অনেক কাজে লাগে। যদিও কিছু সময় নষ্ট হয়, কিন্তু পরের কাজ এই ধাপের জন্য সহজ হয়ে যায়।
নতুন প্রজেক্ট শুরু করার সময় সবচেয়ে প্রথম যেই কাজটি করবেন সেটি হচ্ছে প্ল্যানিং। প্ল্যানিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ - প্ল্যানিং ঠিক মত হলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্ল্যানিং এর বেশিরভাগ সময় কন্টেন্ট নিয়ে চিন্তা করতে ব্যয় হয় - যেই কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে (যেই কন্টেন্ট সাইটে ব্যবহার হবে), কন্টেন্টের অর্ডার, সাইট ম্যাপ ইত্যাদি। কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার সময় খেয়াল করতে হবে যে প্রজেক্টের স্ট্রাকচার কি দাঁড়াচ্ছে, ডেডলাইনের মধ্যে কাজ করা যাবে কিনা ইত্যাদি।
কন্টেন্ট নিয়ে কাজ
সাইটের কাজ করার সময় সাধারণত লোরেম ইপসাম দিয়ে কাজ করা হয় (অথবা যদি আসল কন্টেন্ট থাকে) বা আসল সাইটের কন্টেন্ট নিয়ে প্ল্যান করা হয়। কিন্তু সব সময় আসল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়না। ক্লায়েন্টকে চাপ দিয়ে আসল কন্টেন্ট বের করার চেষ্টা চালাতে হবে।
আসল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ না করলে, যথাযথ কন্টেক্সট পাওয়া যায় না, অনেক ডিজাইনে সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক সিধান্ত নিতে আসল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করা জরুরী।
আসল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করলে দেখা যায় কিভাবে কন্টেন্ট সাইটের ডিজাইনের সাথে ম্যাচ করছে। আর রেসপনসিভ ডিজাইনের সাইট বানানোর সময় রেসপনসিভনেস আর সাইটের ভিউ অ্যাডজাস্ট করতে আসল কন্টেন্ট ব্যবহার করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
কন্টেন্ট বিন্যাস
কন্টেন্ট পাওয়ার পর চেক করে দেখুন এডিট করতে হবে কিনা, বা কিছু রিমুভ করতে হবে কিনা। যদি প্রতি পেজের জন্য আলাদা আলাদা করে কন্টেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে না থাকে তাহলে কন্টেন্ট প্রতি পেজের জন্য সাজিয়ে নিন।
Sarah Parmenter briefly touched upon this at Responsive Day Out এখানে ব্রাইটনে, গত মার্চে কন্টেন্ট অ্যানালাইসিস ও ট্রাইফিক লাইট সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সারাহ এবং তার টিম প্রজেক্টের জন্য কন্টেন্ট পেলে, তারা কন্টেন্ট তিনটি রঙে ভাগ করে নেনঃ রাখার মত কন্টেন্ট সবুজ, বাদ দেয়ার কন্টেন্ট লাল - যা পরে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। অন্যান্য কন্টেন্ট কমলা রঙে রাখা হয়, যা নিয়ে পরবর্তীতে ক্লায়েন্টের সাথে আলোচনা করা হয়।
এভাবে কন্টেন্ট সহজেই গুছিয়ে নেয়া যায় - এই উপায়ে সহজেই ভিসুয়্যালি কন্টেন্ট বিভাগ করা যায়। তাই বোঝা যায় কোনটা কেমন গুরুত্ব দিয়ে হবে।
কন্টেন্ট বাছাই করার সময় ভিন্ন ভিন্ন রকমের কন্টেন্টের একটার সাথে আরেকটার রিলেশনও ভেবে দেখা উচিৎ। কমন কোন প্যাটার্ন খুঁজে পেলে পরে সাইট বানানোর সময় তা কাজে আসতে পারে।
কন্টেন্ট হাইরার্কি
হাইরার্কি মানে হচ্ছে "গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত জিনিষ অর্গানাইজ করার একটি সিস্টেম" - এভাবেই কন্টেন্ট হাইরার্কি নিয়েও কাজ করা যায়। অথবা বলা যায়, কন্টেন্ট আরও অর্থবহ করে তুলতে তা বিন্যাস করা।
কন্টেন্ট সাজানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কন্টেন্ট পরবর্তীতে ডিজিটাইজ করা সহজ হয়। হেডিং, লিস্ট, উক্তি, ইমেজ সব আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে নিতে হবে।
সাইটম্যাপ
সাজানোর পরে আপনি কাজ করার জন্য সুচারু একটি কন্টেন্ট মডেল পেয়ে যাবেন। কন্টেন্ট খুশি মত সাজানোর পরে, সেই কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে কিভাবে শো করা হবে তা ভাবা শুরু করতে হবে।



এই বেসিক সাইটম্যাপটি MindnodePro ব্যবহার করে বানানো। আপনার ওয়েবসাইট ছোট হলে (উদাহরণের মত) পেজের ইলিমেন্টও সাইটম্যাপে অ্যাড করতে পারেন।
কন্টেন্ট সাজানোর আগে বা পরে, যখন ইচ্ছা সাইটম্যাপ করা যায়, এটা আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করবে।
আমার ব্যক্তিগতভাবে সাইটম্যাপ পছন্দ। এটি নিয়ে কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়। সাইট্ম্যাপে ওয়েবসাইটের জঞ্জাল কমে যায়, কোন পেজে কি আছে বুঝতে সুবিধা হয়।
প্ল্যানিং এর মত সাইটম্যাপও প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে অনেক সুবিধা প্রদান করে। ডিজাইন নিয়ে চিন্তার আগেই সাইটম্যাপ করে নিন। পরে যেন কিভাবে সাইট্ম্যাপ হবে তা বুঝতে কোন কনফিউশন না হয়।
এসাইনমেন্ট
- কিছু আসল কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করুন (আগে কোন প্রজেক্টের কন্টেন্ট হলেও চলবে) আর কন্টেন্টে ট্রাফিক লাইট সিস্টেম ব্যবহার করুন। অযথা কন্টেন্ট বাদ দিয়ে দিন, আর ব্যবহার হবে কি হবেনা ব্যঝতে না পারলে সেটা নিয়ে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলুন।
- এরপর যেই কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছেন সেটার একটি সাইটম্যাপ তৈরি করুন। কন্টেন্ট মডিউল রুপে ভাগ করে নেয়ার চেষ্টা করুন, ঠিক কোডের মতই। ওয়েবসাইটের প্রতি পেজে সাইটম্যাপ অনুসারে যা যা কন্টেন্ট লাগবে তা আলাদা আলাদা করে রাখুন।